দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় প্রতি বছরের মতো এ বছরেও বুক ভরা আশা নিয়ে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মৌকুড়ী, ভীম নগর, পাইককান্দি, মহারাজপুর, পারুলিয়া ও ডাঙ্গীপাড়াসহ ১৫টি গ্রামের দুই শতাধিক কৃষক ৪০০ বিঘারও বেশি জমিতে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণ করেন।
মৌকুড়ী গ্রামের কৃষক শফিকুর রহমান এ বছর ৩ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণ করেন। এতে খরচ হয়েছে তার ৯০ হাজার টাকা। রোপণের দুই সপ্তাহের মধ্যে পচন ধরে সব পেঁয়াজের চারা মরে যাওয়ার কারণে তিনি চরমভাবে হতাশ হয়ে পরেছেন। শুধু শফিকুর রহমানই নয় পারুলিয়া, ভীম নগর, জঙ্গল, ও মহারাজপুরসহ বালিয়াকান্দির বিভিন্ন এলাকার শতশত কৃষকের একই অবস্থা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বক্কার শেখ, সোহাগ শেখ ও হান্নান মিয়া বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করতে খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকার পরও পেঁয়াজের চারা রোপণের ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পচে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আমাদের পেঁয়াজই হচ্ছে একমাত্র প্রধান ফসল। আমরা এখন কি করব তা ভেবে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এসেছিলেন। তারা আসার পর উপজেলা প্রশাসনসহ সরেজমিনে পরিদর্শন করি। রোপণের পর পেঁয়াজের চারা পচনের সত্যতা পেয়েছি। তবে পচনের কারণ উদ্ঘাটন এখনো করতে পারিনি।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে এ বছর ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
Leave a Reply