বিজয়ের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত ভারতীয় সিনেমা ‘ফারাজ’ সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার ও প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জমান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গতকাল রোববার এ রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। আজ সকালে সিনেমাটি দেখার পর আদেশ দেন আদালত। আদেশে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসিকে আদালত নির্দেশনা দেন।
পাশাপাশি রুলে ভারতে প্রযোজিত সিনেমা ফারাজ বাংলাদেশের সিনেমা হলে প্রদর্শন ও নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং বাংলাদেশের সিনেমা হলে প্রদর্শন এবং নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম বলেন, ‘ভারতীয় সিনেমাটিতে অবিন্তার পোশাক পরিচ্ছেদ এমনভাবে দেখানো হয়েছে আমাদের সভ্য সমাজে যারা শিক্ষিত পরিবার তারা এসব পোশাক কখনো পরিধান করে না। এখানে মেয়েটিকে চারিত্রিকভাবে অবনমিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের র্যাব পুলিশকে এখানে ব্যর্থ দেখানো হয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের কোনো প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটা আসা উচিত না, তাই রিট করা হয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে মুক্তি পায় ফারাজ।’
এর আগে ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাদপুরে এলিগেন্টস হাইট টাওয়ারে আবন্তিকা কবির ফাউন্ডেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ দেশের প্ল্যাটফর্মে এই সিনেমা মুক্তি না দেওয়ার দাবি জানান।
রুবা আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি ছয় মাস সিনেমাটি আটকে রেখেছি। তা না হলে ছয় মাস আগেই মুক্তি পেয়ে যেত। আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। প্লিজ, আপনারা (সাংবাদিক) সিনেমাটিকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হতে দেবেন না। আমি জানি এই সিনেমা রিলিজ পেয়ে যাবে। তারপরও আপনাদের কাছে অনুরোধ এটা দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যেন রিলিজ না হয়।’
Leave a Reply