বিজয়ের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতভর এ সংঘর্ষে ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন- মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত, তাহমিদ জামান নাভিদ, রুম্মান হোসেন, আতাউর রাফি, মাহামুদুল হাসান তমাল ও গণিত বিভাগের আবিদ হোসেন।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র আল সামাদ শান্ত ও আইন বিভাগের মাহমুদুল হাসান তমাল গ্রুপের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আতাউর রাফি ও বাংলা বিভাগের তাহমিদ হাসান নাভিদ গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিলো।
শান্ত ও তমাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সিফাতের অনুসারী এবং রাফি ও নাভিদ ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লার অনুসারী। সম্প্রতি সিফাত ও রিয়াজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে আসছিলো। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
ছাত্রলীগ নেতা রাফি বলেন, ২-১ দিন আগে রূপাতলীতে বহিরাগতদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিলো। মীমাংসার কথা থাকলেও বহিরাগতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত ১০টার দিকে আমাদের উপর হামলা চালায়। দফায় দফায় হামলায় তিনজন আহত হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আল সামাদ শান্তর নেতৃত্বে বহিরাগতরা নাভিদ, রুম্মান ও আতাউরের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা তিনজনই আহত হয়েছে। শান্তর বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তাদেরকে বলে দিয়েছি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে।
Leave a Reply