সৈয়দ নাঈমঃ বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অপজিটে সিএনজি-আলফা স্ট্যান্ডের নামে বাঁশ দিয়ে ব্যস্ততম সড়কপথে দখল করে রাখা হয়েছে। জানা গেছে পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ভাড়া চালিত যানবাহন থেকে থ্রি হুইলার মালিক সমিতির নামে নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা করে চাঁদা।
দক্ষিণবঙ্গের মানুষের রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বেড়ে উঠেছে আরো গতিশীল যানবাহন। পদ্মা সেতু ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটকদের অপার সম্ভাবনাসহ অর্থনৈতিক খাতগুলো। ঢাকা থেকে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় যেতে সময় সাশ্রয় হয়। কুয়াকাটা, তালতলীর টেংরাগিরি, শুভসন্ধ্যা, বরগুনা, পাথরঘাটাসহ আশপাশের একালা। এমনকি সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্প বিকশিত হবে। খুলে গেছে সারা বাংলাদেশব্যাপী যোগাযোগের দ্বার। কিন্তু এসবের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে কৃত্রিম যানযট। নথুল্লাবাদ নামক স্থানে এ মহাসড়ক দখল করে রেখেছে সিএনজি- আলফা ড্রাইভাররা। পকেট রাস্তার পরে এবার শহরের প্রধান সড়কও তাদের দখলে। ৫৮ বর্গকিমি এর শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি আলফা-সিএনজি। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান। মহানগরে নির্দিষ্টসংখ্যক থ্রীহুইলার চলার অনুমতি দিলেও বাকি গুলো চলছে নিজ ক্ষমতার বলে।
কোন রকম নিয়ম নীতির বলয় না থাকায় ইচ্ছামত বিচরণ করছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা, সেই সাথে শান্ত শহরে যানজট লেগেই থাকে। দুর্ভোগ আর পরিবেশ দূষণের মত ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে শহরে। দক্ষিণ বঙ্গের সাধারণ গনমানুষের ভরসার স্থল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রুগীদের স্বজনরা জানান, অসহায়ের মতো দীর্ঘ সময় জ্যাম উপেক্ষা করে হাসপাতালে পৌছাতে হয় আমাদের। তাই কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে আমাদের তাড়াতাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পথচারী বলেন, বাশ দিয়ে রাস্তা ব্লক করে যানযট সৃষ্টি করা হয়েছে। যার ফলে পাঁচ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট। এ যেন এক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মস্থলগামী যাত্রী ও চালকরা।
01797-427966
পথচারী রাতুল ও সাথী নামে দুজন শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তা আটকে রাখায় রাস্তায় জ্যাম স্কুলে যেতে দেরী হয়। স্যারও বকা দেয়। আমরা চাই সঠিক সময়ে স্কুলে যেতে। কোনো যানযট যাতে রাস্তায় না থাকে।
এ বিষয় বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, স্থানটি আমাদের কিনা সেটি নিশ্চিত হতে হবে, আমরা আগামীকাল সরজমিন পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) জানান, দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে, এনিয়ে প্ল্যানও চলতাছে বাস স্ট্যান্ডটি ট্রাক স্ট্যান্ডে চলে যাবে তো ওটার জন্যই আমরা ট্রাফিক বিভাগ অপেক্ষা করতেছি, এটার সমাধান করা খুবই কঠিন, এবং আগামীকাল এই বিষয়টি নিয়ে ১২ঃ০০ টার সময় নথুল্লাবাদ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং মেয়র সাহেব দুই জনেই যাবেন তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এটা কি করা যায়।
চাঁদা নেয়ার বিষয়টি জানার জন্য থ্রি হুইলার মালিক সমিতির সভাপতি দুলালকে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
Leave a Reply