আরিফুল ইসলাম, গবি প্রতিনিধিঃ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের আন্দোলনের মুখে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ঈদের পর ৩০ এপ্রিল থেকে। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ মার্চ।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন এবং মূল ফটকে ঝুলিয়ে দেয়। ফলে স্থবির হয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাস। তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ অনেকেই অবরুদ্ধ হয়ে যান।
এক পর্যায়ে প্রশাসন বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সাথে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে তারা তারা ঈদের পর লিখিত পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার পর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ঈদের ছুটি সহ ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাবে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবী, ৬ মাসের সেমিস্টার ৫ মাসেই শেষ করতে চায় প্রশাসন। খেলাধুলা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সহ নানা প্রোগ্রামের কারণে বিগত ৩ মাসে সিলেবাস পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। অনেকের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। এরই মধ্যে সামনে রমজান। রোজা রেখে পরীক্ষা দেওয়া কষ্টসাধ্য। তাই তারা ঈদের পরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবী জানান।
উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই ২৯ মার্চ পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের দাবির প্রেক্ষিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।’ তবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পিছিয়ে লাভবান হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভেটেরিনারি ও ফার্মেসীর শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্যমতে, তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার চাপ লিখিত পরীক্ষা থেকে কোনো অংশে কম নয়। রমজান মাসে রোজা রেখে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়াটা খুবই কষ্টসাধ্য হবে বলে মন্তব্য তাদের।
এর আগে, গতকাল শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান করে ঈদের পরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানালে প্রশাসন পূর্ব নির্ধারিত ২৯ মার্চ থেকে এক সপ্তাহ পরীক্ষা পেছানোর আশ্বাস দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি।
Leave a Reply