নিউজ ডেস্ক; আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এগুলো গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মহানগর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের কাজে বাইরে, ঠিক সেই সময় দেশে কয়েকটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গেছে। এটা স্বাভাবিক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই নিয়ে কারও মাথাব্যথার প্রয়োজন নাই। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল হুট করে একটা বিবৃতি দিয়েছেন। তার বিবৃতিতে এই ধরনের একের পর এক ঘটনাকে রহস্যজনক বলা হয়েছে। আমরা তার সঙ্গে একমত। এই সময়ে দেশে এই ধরনের ঘটনা রহস্যজনক।
এই রহস্যের ভেতরের বিষয়টি কী সেটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, তারা নাশকতার পথ খুঁজছে কিনা, নাশকতার পথে হাঁটছেন কিনা সেটাও আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এসব রহস্যজনক ঘটনার পেছনে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা দলের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, বিষয়টি তারা সিরিয়াসলি খতিয়ে দেখছেন।
ঢাকার সিদ্দিকবাজার, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের চলমান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল বলছে আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছি। কিন্তু আমরা তা করছি না, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। বিএনপি’র অশান্তির আশঙ্কায় এ সমাবেশ করছি। তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য ক্ষমতায় থাকায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। আমরা জনগণের পাশে আছি। তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে দেখেছি বিএনপি যখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়, তারা আগুন সন্ত্রাসে মেতে ওঠে। সে সময় তারা ভাঙচুর ও অগ্নি-সন্ত্রাস করেছে। পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। এ ব্যাপারে নিজেরা সতর্ক আছি, দেশবাসী এবং জনগণকে আমরা সতর্ক করছি। এদিকে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে নেই। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আমাদের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিবস। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এদিন পরিবারের পক্ষে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ফুল দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশে ছিলেন না, কিন্তু দিনটাকে কতোটা গুরুত্ব দেন- এটা তারই প্রমাণ। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সক্রিয়তার কোনো বিষয় আছে বলে আমার জানা নেই। যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, আব্দুর রহমান, এড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply