জানা গেছে, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২শ’ কিলোমিটার সিঙ্গেল মহাসড়কটি ২৪ ফুট প্রশস্ত। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এই মহাসড়কে যানবাহনের অধিক চাপের কারণে শ্লো হয়ে গেছে গতি। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর উত্তরাংশের প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপাড় থেকে দক্ষিণের সিমান্তবর্তী দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিন অসহনীয় যানজট লেগে থাকে। সিটি মেয়র ও সড়ক বিভাগের চেস্টায় এই মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার সম্প্রসারণে ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সড়ক মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ওই ১২ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। একই মহাসড়কে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করায় বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় শহরের অভ্যন্তরের মহাসড়ক সম্প্রসারণ হলে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরবে। স্বস্তি পাবে জনগণ। তবে খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, এই ১২ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে শত শত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। কোথাও খাবার দোকান, কোথাও চাঁ পানের দোকান রয়েছে। এভাবে পুরো ১২ কিলোমিটার মহাসড়কের ফোরলেনের জায়গায় বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি নগরীর কাশিপুর আনসার ভিডিপি ও ভারতীয় ভিসা অফিসে সামনে মহাসড়কের জমিতে সরকারী সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে খাবার হোটেল নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেহেদী হাসান হুমায়নের বিরুদ্বে। তিনি আবার স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে আসাদ নামের এক ব্যাক্তির কাছে ভাড়া দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। যা এই মহাসড়ক সম্প্রসারণের বাধাঁ। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা মো: ফয়েজ আহমেদ কায়েস সড়ক ও জনপথ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর গত ৬ মার্চ অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বরিশাল সড়ক ও জনপথ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, আমরা সড়ক প্রসস্তকরণ কাজ শুরু করেছি। সড়ক প্রশস্তকরণে যে বাধাঁগুলো আছে, সেগুলো তালিকা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয়েও গেছে। খুব শীঘ্রই আমরা উচ্ছেদ অভিযানে যাবো।
Leave a Reply