এইচ এম নোমান, চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
ভোলার চরফ্যাশনে ধানক্ষেত থেকে আব্দুল খালেক নামে এক জনের অর্ধগলিত লাশের সাথে পাওয়া স্মার্ট মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারী সনাক্ত করেছে পুলিশ।
মৃতদেহের সাথে লক্ষাদিক টাকা ও স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং টর্সলাইটসহ গায়ের সার্ট ও পরনের পেন্ট তার সাথে থাকার কথা নয় দাবি করেছেন নিহত খালেকের পরিবার। প্রশ্ন হল এসব কোথা থেকে এলো তার সাথে?
এদিকে পুলিশ ঘটনার পরপরই মৃতদেহের সাথে পাওয়া স্মাট মোবাইল ফোনটির ব্যবহারকারীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ১ টার পর থেকে খালেক নিখোঁজ। ১৮ মার্চ শনিবার তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
জিডি করার ১২ ঘন্টা পর রোববার সকালে খালেকের নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তরে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ১নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিগঞ্জ এলাকার নুরউদ্দিন কাজি বাড়ির পূর্বপাশের ধানক্ষেত থেকে খালেকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে খালেকের সাথে পাওয়া মোবাইল ফোনটির ব্যবহাকারীকে পুলিশ সনাক্ত করার পরেই জানা গেল রহস্যময় চুরির ঘটনা।
১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে একই ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে ঘর চুরির খবর জানাগেছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ,একই রাতে চুরি,আবার চোরাই ফোনটিও নিহত খালেকের কাছেই পাওয়া গেছে এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়।
স্মাট মোবাইল ফোনটির ব্যবহারকারীর দাবী তার ফোনটি চুরি হয়েছে।
উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তে মৃতদেহ পরে থাকা ধান ক্ষেত থেকে প্রায় দেড় কিঃমিটার পূর্ব দিকে মন্নান মাঝি বাড়ি ও হান্নান দালাল বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখানে মন্নান মাঝির ছোট ছেলে খলিলের স্ত্রী খালেদা বেগমের একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও একই সময় হান্নান দালাল বাড়ি থেকে দুই লক্ষাদিক টাকা চুরি হয়।
হান্নান দালাল জানান,বৃহস্পতিবার রাত তিনটায় হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে তার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে চমকে উঠেন তিনি। এসময় দেখেন সুঁকেছের ড্রয়ের,সুঁকেছে নাই!
অনেক খোজাখুজি করে বাড়ির দক্ষিণ পাশের রাস্তার খাদে পরে থাকতে দেখেন সুঁকেছের ড্রয়ের। এসময় তার ২লাখ ৩হাজার ৯শ টাকা চুরি হয় দাবি করেন হান্নান। তবে এই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ অথবা থানায় কোন জিডি বা অভিযোগ করা হয়নি। এতগুলো টাকা চুরি হলো কিন্তু থানায় বা কোথাও কোনো অভিযোগ করা হলো না কেনো?জানতে ছাইলে হান্নান বলেন কে বা কারা চুরি করছে আমি জানিনা সেজন্যে অভিযোগ করিনি।
এমন মৃত্যু ও চুরির খবরে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে কেউ বলছেন খালেক চুরি কারবারীর সাথে জড়িত আর চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়েই খুন হতে পারে। আবার কেউ বলছেন চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে জীবন দিতে হয়েছে খালেকের,হত্যাকারীরা নিজেদের বাঁচাতে শার্ট-পেন্ট পরিয়ে পকেটে লক্ষাধিক টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেদের আড়ালে রেখেছেন।তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম (বার) মঙ্গলবার ২১ মার্চ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি বলেন, নিহতের সাথে পাওয়া স্মার্ট মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারী সনাক্ত হয়েছে এবং একই তারিখে চুরির ঘটনাও ঘটেছে, সেই স্পট গুলোও পরিদর্শন করেছি ঘটনা তদন্তাদীন রয়েছে।আশাকরি খুব শীঘ্রই হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন হবে।
Leave a Reply