বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা নস্যাৎ করে দিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাই হবে সরকারের মূল প্রচেষ্টা।
৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দলের নেতারা শুভেচ্ছা জানাতে গেলে, সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে যে কোনো জায়গাতেই সফলতা নিয়ে আসা সম্ভব হয়, সেটা মেনেই আমি কাজ করি। দেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার বড় লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স থেকে ছবিসহ নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড; সবই তো আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই হয়েছে। তারপরও কেউ যদি আমাদের ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের ছবক দিতে আসে; তাদের বিষয়ে আসলে কিছুই বলার নাই আর।’
ভোট ডাকাতরা এখন গণতন্ত্র আর ভোটের অধিকারের কথা বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধভাবে জন্ম নেয়া দলের কাছে শুনতে হয় এ সমস্ত কথা। এগুলো মাঠের কথা মাঠেই থাকবে; আমরা থাকবো জনতার সঙ্গে। কারণ জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেই তো আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মানুষের ওই বিশ্বাস-আস্থাটাই আমাদের একমাত্র শক্তি, আর কোনো শক্তি নেই। দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু, এই কথাটা সবাইকে স্মরণে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাসন জীবন থেকে ফিরে এসে, কোনো স্বজনকে নয়, পাশে পেয়েছিলাম এ দেশের অগণিত মানুষকে। সেই থেকে জনগণ আর দলই আমার পরিবার।’
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল জনগণের জন্য কাজ করে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আসলে লুটেরা দল। ধন-সম্পদ কারও চিরদিন থাকে না। মরলে সবাইকে মাটির নিচে যেতে হবে। কেউ কিছু নিয়ে যেতে পারে না। বেশি করলে…বদনামটা নিয়ে যেতে হয়। কাজেই সেটা যেনো না হয়।’
তিনি বলেন, খুনি-সন্ত্রাসী-যুদ্ধাপরাধীদের দল কখনও যেনো আর দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
Leave a Reply